মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম তানুর প্রয়াণ দিবসে নাট্য সমিতি স্মরণ

মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম তানুর প্রয়াণ দিবসে নাট্য সমিতি স্মরণ –

বিশিষ্ট রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, দিনাজপুর নাট্য সমিতির দীর্ঘদিনের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, দিনাজপুরের অভিভাবক সবার শ্রদ্ধেয়জন মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম তানুর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৫ জানুয়ারি ‘২২, দিনাজপুর নাট্য সমিতি তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
সন্ধ্যায় নাট্য সমিতি গৃহে বৈঠকি স্মরণ সভার সভাপতিত্বে করেন সমিতির সহ-সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলাম।
স্মরণ সভায় আলোচনায় অংশ নেনে সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজু, সহসাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল খোকা, নাট্যাধ্যক্ষ তরিকুল আলম তরু, নাট্য নির্দেশক নয়ন বার্টেল, সম্বিত সাহা, সদস্য টংকনাথ অধিকারি, সাইফুল ইসলাম প্রমূখ।
স্মরণ সভায় বক্তাগণ প্রয়াত মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম তানুর বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন তাঁর মত উদার মনের মানুষ এবং সংগঠক পাওয়া দুষ্কর।
মানুষের জন্যই তিনি সারা জীবন নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। তাঁর নৈতিকতা ও সততা ছিল প্রশ্নাতীত। তিনি ছিলেন মনেপ্রাণে একজন অস্প্রদায়িক ও মানবিক মানুষ। নাট্য সমিতির তিনি ছিলেন প্রাণপুরুষ।
তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও নেত্রীত্বে স্বাধীনতা যুদ্ধে খানসেনা কর্তৃক ধ্বংসপ্রাপ্ত নাট্য সমিতি পূণরায় গড়ে তুলা সম্ভব হয়েছিল। দিনাজপুরের সকল সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তিনি ছিলেন অগ্রসৈনিক।
তিনি ছিলেন দিনাজপুরে অভিভাবক তাঁর মৃত্যুতে দিনাজপুরের যে ক্ষতি হয়েছে তা সহজেই পূরণ হবার নয়।

মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম

ভাষাসৈনিক ও সিপিবি নেতা মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম

ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা এবং সিপিবি দিনাজপুর জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম (৮৩) গতকাল বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
অস্ট্রেলিয়া থেকে মেয়ে ফারজানা আনোয়ার ও নিউইয়র্ক থেকে ছেলে মির্জা আনাতুল ইসলাম ফেরার পর আগামীকাল শুক্রবার বাদ আসর মির্জা আনোয়ারুল ইসলামকে দাফন করা হবে।
মির্জা আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম শোক প্রকাশ এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
মির্জা আনোয়ারুল ইসলাম তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা হিসেবে ১৯৬২ সালের ছাত্র আন্দোলন ও ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৫ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট দিনাজপুরের আহ্বায়ক ও সভাপতি এবং দিনাজপুর উদীচীর সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আনোয়ারুল ইসলাম ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি এবং দলটির কন্ট্রোল কমিশনের সদস্য ছিলেন।